পটিয়া প্রতিনিধি: অবশেষে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে চালু হল করোনা আক্রান্তদের জন্য ২০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টার। গত বৃহস্পতিবার থেকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তৃতীয় তলায় পুরুষ ওয়ার্ডকে এ আইসোলেশন সেন্টারে রূপান্তর করা হয়। গতকাল শনিবার পর্যন্ত এ সেন্টারে ৩ জন করোনা রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র নিশ্চিত করে।
এ বিষয়ে হুইপ সামশুল হক চৌধুরী বলেন, পটিয়ায় বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে একটি আইসোলেশন সেন্টারের খুবই প্রয়োজন ছিল। তাই পটিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তৃতীয় তলায় পুরুষ ওয়ার্ডকে ২০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টার হিসেবে চালু করা হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, এখানে ডাক্তার নার্স ওয়ার্ড বয় ক্লিনার বাবুর্চিসহ বিভিন্ন পদে সরকারি জনবল রয়েছে। বাইরে আইসোলেশন সেন্টার করতে হলে হঠাৎ করে এ জনবল পাওয়া সম্ভব হবে না। তাই পটিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে প্রাথমিকভাবে ২০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টার হিসেবে চালু করা হল। পরবর্তীতে প্রয়োজনে শয্যা আরো বাড়িয়ে করোনা রোগীদের সেবা দেয়া হবে। তিনি আরো জানান, এস আলম গ্রুপের সহায়তায় এখানে করোনা রোগীদের নমুনা সংগ্রহ বুথের ব্যবস্থা করা হবে।
পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাবেদ জানান, সরকারি হিসেবে পটিয়ায় শনিবার পর্যন্ত ২ জন নতুনসহ ১৫০ জন করোনা রোগী সনাক্ত হয়েছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টারে গতকাল শনিবার পর্যন্ত ৩ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে। তবে পটিয়ায় করোনা রোগীদের নমুনা সংগ্রহকারী দুই ব্যক্তি জানালেন তাদের নানা অভিযোগের কথা। পটিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইপিআই রবিউল হোসেন রবি ও মেডিকেল টেকনোলজিস্ট দেবাশীষ বড়ুয়া সাজু জানান, তারা নমুনা সংগ্রহ করতে গিয়ে তাদের পরিবারের সদস্যরা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে কাজ করলেও এ দুঃসময়ে তাদের জন্য পূর্ণাঙ্গ সুরক্ষা সামগ্রী ও তাদের পরিবারের খাবার দাবারের জন্য বাড়তি কোনো ব্যবস্থা নেই। নেই নমুনা সংগ্রহ বুথও। এতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তারা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
Leave a Reply