লভেল করোনা কভিট ১৯ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন পাল্লা দিয়ে বাড়ছেই। জেলার অন্যান্য উপজেলার পাশাপাশি পেকুয়ায়ও দিনদিন বাড়ছে এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। ফলে রোগী বাড়ার সাথে সাথেই চাপ পড়েছে সরকার নির্ধারিত আইসোলেশন সেন্টার ও প্রাতিষ্টানিক কোয়ারেন্টাইনগুলোতে। এবার পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নে চেয়ারম্যানের ব্যক্তি উদ্যোগে চালু হলো আইসোলেশন সেন্টার। ইতিমধ্যেই মগনামা ইউনিয়ন স্ব্যাস্থ্য কমপ্লেক্সকে একটি আইসোলেশন সেন্টারে রুপ দেয়া হয়েছে। শনিবার ৬ জুন সকালে মগনামা ইউনিয়ন স্ব্যাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্বরত ডা: ফাবিহা মাহজাবিনের হাতে আইসোলেশন সেন্টারের জন্য যাবতীয় মালামাল ইউপি চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ চৌধুরী ওয়াসিম নিজেই হস্তান্তর করেন। যেখানে মগনামা ইউনয়নের এক সঙ্গে পাচঁজন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিতে পারবেন বলে জানা গেছে। এব্যাপারে মগনামা ইউপি চেয়ারম্যান ওয়াসিম বলেন, আমি আমার দায়বদ্ধতা থেকে আমার ইউনিয়নের মানুষের জন্য এসব কাজ করে যাচ্ছি। আমার কথা হলো মানুষ সেবা পাবে কেউ যেন বিনা চিকিৎসায় মারা না যায়। তিনি আইসোলেশন সেন্টারের জন্য যাবতীয় লোকবল থেকে শুরু করে খাবার ও ওষুধ সামগ্রী ও সরবরাহ করবেন বলে জানান। এ বিষয়ে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা:মুজিবুর রহমান বলেন, এটি একটি ভালো খবর কেননা এসময়ে সরকারের পাশাপাশি সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। মগনামা ্ইউপি চেয়ারম্যান যে এরইকম একটি উদ্যোগ নিলেন এটি নি:সন্দেহে প্রশংসার দাবীদার। মগনামার মানুষ এখন সেখানে আইসোলেশনে থাকতে পারবে। তবে সার্বক্ষনিক পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসকগন যোগাযোগ রাখবেন বলে জানান তিনি। মগনামা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: ফাবিহা মাহজাবিন বলেন, চেয়ারম্যান সাহেব আইসোলেশন সেন্টার করার জন্য ইতিমধ্যেই দুটি অক্সিজেন সিলিন্ডার দিয়েছেন বাকি সব ইকুবমেন্ট তিনি কাল পরশু দিবেন তাকে লিস্ট করে দেয়া হয়েছে। আশা করছি এখানে মগনামার কভিট আক্রান্ত রোগীরা আইসোলেশনে থাকতে পারবে। এদিকে মগনামা ইউপি চেয়ারম্যানের এমন উধ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তারা এমন উদ্যোগের জন্য চেয়ারম্যানকে ধন্যবাদ জানান।
Leave a Reply